
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে আমবাগান গুলো। মুকুল পরিচর্যায় ব্যাস্ত আম চাষিরা। কিছু দিন পরেই দেখা যাবে খিসষা, ল্যাংরা, গোপালভোগ, ফজলি, আমরূপালি আমসহ বিভিন্ন জাতের সুমিষ্ট আম।
কৃষি বিভাগ বলছে, উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চাষীদের বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে ।
আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাগান গুলোতে এখন মুকুলের গন্ধে মিষ্টি ঘ্রানে মৌ মৌ করছে চার পাশ। যেদিকেই চোখ যায় দেখা যায় শুধু উজ্জ্বল সোনালী আভাস। ছোট বড় সব গাছে ছেয়ে গেছে মুকুলে মুকুলে আমবাগান। তাই পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পালন করছে কর্মচারী ও আমবাগান মালিকরা।
বাগান মালিকরা বলেন, এ বছর প্রচুর পরিমানে মুকুল এসেছে। অধিক পরিমাণে আম আনার জন্য বাগানের পরিচর্যা করছি। এ সময় সাধারণ মিজ পোকার আক্রমণ হয়, এই পোকার আক্রমণ থেকে আমকে রক্ষা করতে আমারা গাছে গাছে কীটনাশক স্প্রে করছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ যদি না আসে তাহলে আমরা ভালো ফলন পাবে।
জেলার পাঁচটি উপজেলার বাগান গুলোতে গাছে পানি ও সার দেওয়ার পাশাপাশি কীটনাশক স্প্রে করছেন চাষীরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভাল ফলনের আসা তাদের। তবে এতো যত্ন ও কষ্টে উৎপাদিত ফলের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার আসংকা আমচাষীদের। রপ্তানি সহ আমের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাদের।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড.পলাশ সরকার বলেন, আমরা কৃষকদের কোন সময় স্প্রে করা লাগবে সেগুলো তাদের বলা হচ্ছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে আমবাগানিদের সাথে কথা বলেছি। নিরাপদ আম উৎপাদনটা বেশি হবে এবং এখান থেকে বাইরের দেশে আম রপ্তানিটাও বেশি হবে। এবছর জেলায় আম উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিকটন।
কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে নানা ধরনের সহযোগিতা তাই ভালো ফলন মিলবে আসা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: