
প্রায় ২৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই বাঁধ নির্মাণ এবং ৪ কিলোমিটার নদী ড্রেজিংয়ের লক্ষ্যে ১ হাজার ৭৬৯ কোটি ১০ লাখ টাকার একটি প্রকল্পের প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ বাজার থেকে শুরু করে শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের বোগলাউড়ি পর্যন্ত এলাকা নদী ভাঙনের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাবে। এতে শুধু বসতবাড়ি নয়, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, আবাদি জমি, নৌ-যোগাযোগ এবং মৎস্য সম্পদেরও উন্নয়ন ঘটবে।
পাউবো সূত্র জানায়, শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর, মনাকষা এলাকায় পদ্মার বাম তীরে ১১.১৫ কিলোমিটার এবং সদর উপজেলার চর আশাড়িয়াদহ এলাকায় ডান তীরে ৩.৭৬ কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণের কাজ করা হবে। এছাড়া পাকা, নারায়ণপুরসহ আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ১০.৮৮ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ এবং দুর্লভপুর এলাকায় ৪.২৫ কিলোমিটার ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল মুমিন বলেন, "পদ্মা নদীর ভাঙনে আমাদের জীবনই শেষ হয়ে গেছে। অনেকেই সব হারিয়ে নিঃস্ব। যদি দ্রুত বাঁধ নির্মাণ হয়, তাহলে আমাদের মতো মানুষের অনেক উপকার হবে।"
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, "আমরা আশাবাদী আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়ে যাবো। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নদীভাঙনের ভয়ে থাকা মানুষদের জন্য এটি হবে একটি বড় স্বস্তির বিষয়।"
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আ ন ম বজলুর রশীদ ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে বলেন, "পদ্মা নদীর এই অংশে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ এখন সময়ের দাবি। সম্ভাব্যতা যাচাই ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। সরকার অনুমোদন দিলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।"
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: