
নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম গাছে আগাম মুকুলের দেখা দিয়েছে। আম্রকাননে মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ জানান দিচ্ছে মধু মাসের। শীতের এবার তেমন তীব্রতা না থাকায় ও আবহাওয়াগত কারণে এই জেলায় গাছে গাছে আগাম মুকুলের দেখা দিয়েছে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।
আম গাছে এবার মুকুল বেশি আসায় চাষিরা আনন্দিত। আমের জন্য বিখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার এর একটি অংশ। জেলার চাষকৃত উল্লেখযোগ্য জাতের আম হলো গোপালভোগ, ক্ষিরসাপাত বা হিমসাগর, বোম্বাই, ল্যাংড়া, লক্ষণভোগ, মল্লিকা, ফজলি, আম্রপালি, আশ্বিনা, গৌড়মতিসহ অন্যান্য জাতের গুটি আম।
সরজমিনের চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন বাগানে গিয়ে দেখা গেছে বাগানের গাছে আগাম মুকুল এসেছে। আগাম মুকলের আগে থেকেই বাগান মালিকরা পরিচর্যা কাজ করে চলেছেন। বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন আমচাষি ও বাগান মালিকেরা।
জেলার কল্যাণপুর এলাকার আম চাষি খায়রুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে থেকে আমার লক্ষনভোগসহ কয়েক জাতের গুটি আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করছে। তাই কীটনাশক দিয়ে স্প্রে করছি। যেন মুকুলগুলো নষ্ট না হয়। এবার আমার লক্ষনভোগ, গোপালভোগ, ফজলি, আশ্বিনা, বারি-৪, ল্যাংড়াসহ বেশ কয়েক জাতের আম গাছ রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার আম গাছের অবস্থা ভালো আছে। আশা করছি এবার অনেক লাভবান হব।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, জেলার কিছু কিছু গুটি আম গাছে আগাম মুকুল আসতে শুরু করেছে। এই সময়ে সাধারণত কুয়াশা ও পোকার আক্রমণ হয় মুকুলে। তাই কীটনাশক স্প্রে করার পরমর্শ দিচ্ছি চাষিদের। তিনি আরও বলেন, জেলার ৫ উপজেলায় এবার ৩৭ হাজার ৫৮৮ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আম গাছ রয়েছে ২৮ লাখ ১৯ হাজার ১শ টি। এখন পর্যন্ত ৬০ ভাগ গাছ মুকুলিত হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: