
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে কুয়েট আইন, ২০০৩-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পূর্বের নিয়োগ আদেশ প্রত্যাহার করে তাদের নিজ নিজ বিভাগে প্রত্যাবর্তনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রজ্ঞাপনে। এতে সই করেন সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম কাসেম।
উল্লেখ্য, ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল-যুবদল এবং শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করে।
তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। পরদিন ১৪ এপ্রিল রাতে সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।
২২ এপ্রিল বিকেল থেকে ২৯ জন শিক্ষার্থী উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন। ২৪ এপ্রিল সরকারের পক্ষ থেকে পদত্যাগ বা অপসারণের আশ্বাস পাওয়ার পর তারা অনশন ভাঙেন। পরদিন বিজয় মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস কে শরীফুল আলম দাবি করেন, তিনি পদত্যাগ করেননি এবং তাকে অব্যাহতি না দিতে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে চিঠিও দেন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি।
সরকার জানিয়েছে, কুয়েটে নতুন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য নিয়োগের জন্য শিগগিরই একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: