গ্রামীণ সংস্কৃতিতে নবান্ন উৎসবে মেতে উঠেছে পিঠাপুলির আসর!


এম এ করিম নিউজ ডেস্কঃ শরতের হাত ধরে হেমন্ত,আর হেমন্ত আসে সোনালী ফসলে সম্ভার নিয়ে। হেমন্ত মানে শিশিরস্নাত সকাল এবং শীতের কাঁচাসোনা রোদ্র মাখা স্নিগ্ধসৌম্য দুপুরবেলা। আর তাই হেমন্তের মাতওয়ারা হয়ে পাখির কলকাকলিতে ভরা সন্ধ্যাবেলার আসর জমিয়েছে বলে হেমন্তের আবহাওয়া বদলে শীতকালের আসন্ন।
আর এমন সব রহস্যময় প্রকৃতিতে মহোৎসবে মনের আনন্দে মাঠ থেকে সোনালী হলুদ নতুন পাকা ধান ঘরে তুলে গ্রাম গঞ্জের গৃহস্থলী বাড়ি সহ গ্রামের প্রায় সকল পরিবারে ছোট-বড় সব ব্যস্ত পিঠাপুলি তৈরিতে।
গ্রামীণ সংস্কৃতিতে হেমন্তের স্বরূপ যেন চেপে বসে সোনালী ধান ক্ষেতের উপর।অার এরই সারি ও পালাক্রমে কৃষাণ-কৃষাণীরা নবান্ন উৎসবে এমন মাঠের পর মাঠ যেন গাঢ় সোনালী হলুদ বর্ণের রঙে সেজে উঠেছে নতুন ধানের ক্ষেত।
চারিদিকে ভেসে বেড়াচ্ছে পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ। আর তাই গ্রামগঞ্জ গুলোতে মেতে উঠেছে স্বর্ণ ভান্ডার আর শস্যভান্ডার। যা লুকায়িত কৃষকের অন্তরে অনাবিল সুখের হাসি এমন আনন্দে গ্রাম বাংলার কৃষক কৃষাণীরা।
এদিকে গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে চলছে পিঠা-পুলির উৎসব, হেমন্তর প্রকৃতিতে সূর্যমামার সকালে সোনালী রোদ বাড়িয়ে দেই গ্রামবাংলার পথঘাট ও ধানক্ষেতের মাঠের উজ্জ্বলতা।
এছাড়াও গ্রামের মাঠে যতদূর চোখ যায় শুধু সোনালী ধান ক্ষেত, এছাড়াও গঞ্জের ঘাট ও গ্রামের পুকুর পাড়ে লাউয়ের মাঁচা লিকলিকে প্রতিটি ডগায় খিলখিল করে হেমন্তের শিশির জুড়া হাসি।
আর এই হেমন্তে কৃষকের বিস্তৃত উঠোন ভরা ধান পরিপূর্ণ হয়ে উঠে,আর এতে করে মাঠ থেকে ফসল ঘরে তোলার আনন্দে ব্যস্ত সময় পার করছে গ্রামের কৃষক কৃষাণীরা।
এদিকে নবান্ন উৎসবে নতুন ধান ভেঙে পিঠা পায়েস তৈরির ধুম পড়েছে গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: