
নিউজ ডেস্ক: আজ সারা দেশে একযোগে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ শিশু এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার সকাল ৮টায় রাজধানীতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্ভোবন করেন। পরে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়েছে এবং দিনব্যাপী এ কার্যক্রম চলবে।
ক্যাম্পেইনের আওতায় সারাদেশে কেন্দ্র সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার। স্বাস্থ্যসেবীর সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার। আর স্বাস্থ্য কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার।
এর আগে রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুদের মাঝে রাতকানা রোগের হার ছিল ৪.১০ শতাংশ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম শুরু করে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু করেন। বর্তমান সরকার ২০১০ সাল থেকে নিয়মিত ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ফলে ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগ শিশুদের মাঝে নেই বললেই চলে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরো বলেন, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সিটি কর্পোরেশন, জেলা-উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে অবহিত করন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা ওয়ার্ড পর্যায়ে এবং উপজেলা ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণ হয়েছে। কেন্দ্র থেকে মাঠ পর্যায়ে লজিস্টিক পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে সিটি করপোরেশন ও মাঠ পর্যায়ে ভিটামিন এ ক্যাপসুল পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, শিশুদের ভরা পেটে কেন্দ্র নিয়ে আসতে হবে। কাঁচি দিয়ে ভিটামিন এ ক্যাপসুলের মুখ কেটে এর ভেতরে থাকা তরল ওষুধ চিপে খাওয়াতে হবে। জোর করে অথবা কান্না অবস্থায় কোনো শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ৬ মাসের কম বয়সী এবং ৫ বছরের বেশি বয়সী এবং কোন অসুস্থ শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবেনা।
এছাড়া বিআরসির সাহায্যে দেশব্যাপী সব মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন এর তথ্য সংবলিত ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়েছে। এর সঙ্গে দেশের সব শিশু বিশেষজ্ঞকে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে অবিহত করা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: