চাঁপাইনবাবগঞ্জ | রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ info@mohanonda24.com +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩
ভারতের শহর থেকে জেলা, সর্বত্রই হাসপাতাল ভরে যাচ্ছে জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত শিশু।

অ্যাডিনোভাইরাস : শিশুদের অধিক সতর্কতার কারণ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০২৩ ০৫:১৪

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০২৩ ০৫:১৪

সংগৃহিত ছবি

ভারতের শহর থেকে জেলা, সর্বত্রই হাসপাতাল ভরে যাচ্ছে জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত শিশু। নেপথ্যে রয়েছে আপাত নিরীহ অ্যাডিনোভাইরাস।এটি নতুন কোন ভাইরাস নয়। এই ভাইরাসের প্রকোপ আগেও ছিল। তবে এ বছরে যেন তার ভয়াবহতা বেড়ে গেছে। মূলত শিশুদের শরীরে এ ভাইরাসের ঝুঁকি বেশি। বড়দের শরীরে অ্যাডিনোভাইরাস বাসা বাধলে তা থেকে শিশুরাও কিন্তু আক্রান্ত হতে পারে।        

এ মৌসুমে বড়দের মধ্যেও এই রোগের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘বড়রাও সমান ভাবে এ ভাইরাসের কবলে পড়ছেন। গলাব্যাথা, ঢোক গিলতে অসুবিধা, দীর্ঘ দিন ধরে কাশি-এ সবই কিন্তু অ্যাডিনোভাইরাস শরীরে বাসা বাধার উপসর্গ। তবে বড়দের শরীরে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লেও বড় কোনো ক্ষতি করতে পারছে না। শিশুদের ক্ষেত্রে যেমন মৃত্যুর ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে, বড়দের ক্ষেত্রে তেমন কোনো খবর এখনো পাওয়া যায়নি, তবে তারা মনোরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে যাচ্ছে বড়রা।’

তবে কি বড়রা সতর্ক না হলেও চলবে?

চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘অ্যাডিনোভাইরাসের চরিত্রটা ঠিক কোভিডের মতোই। হাঁচি, কাশির মাধ্যমে কিংবা রোগীর ছোঁয়া কোনো জিনিসের সংস্পর্শে এলেই এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই বিশেষ করে যাদের বাড়িতে শিশু আছে, তাদের বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। জ্বর-সর্দি-কাশি হলে শিশুদের থেকে দূরে থাকতে হবে। মায়ের এ রকম কোনো উপসর্গ হলে শিশুর সাথে না ঘুমিয়ে আলাদা ঘরে ঘুমাতে হবে। বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে তবেই শিশুর সাথে মেলামেশা করুন। জ্বর হলে বাইরে না যাওয়াই ভালো। সেখান থেকেও অন্যদের মধ্যে ছড়াচ্ছে এ ভাইরাস। ফল ভুগতে হচ্ছে শিশুদের।’ এই সময়েও মাস্ক ব্যবহার করা জরুরি বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হলে এর তেমন চিকিৎসা কিংবা ওষুধও নেই। কেবল মাত্র সাপোর্টিভ ট্রিটমেন্ট দিয়ে অ্যাডিনোভাইরাস আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা করা হচ্ছে। অর্থাৎ যাদের অক্সিজেন লাগছে, তাদের অক্সিজেন দিতে হচ্ছে, প্রয়োজনে ভেন্টিলেশনে রাখতে হচ্ছে আক্রান্ত রোগীকে। সতর্কতা বাড়ানো ছাড়া এই রোগের সাথে মোকাবিলা করার উপায় নেই।

 

চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীর আরোও বলেন, ‘স্কুলগুলোতে নজরদারি বাড়াতে হবে। কোনো শিশুর জ্বর-সর্দি-কাশি হলে তাকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। মা-বাবাকে সতর্ক থাকতে হবে। শিশুদের জ্বর হলে স্কুল, কোচিং সেন্টারে পাঠানো যাবে না।’

 

সূত্র : আনন্দবাজার



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: