চাঁপাইনবাবগঞ্জ | রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ৩০ চৈত্র ১৪৩১ info@mohanonda24.com +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩
ভিটামিন-পি এর নাম বেশিরভাগ মানুষই শোনেননি। তবে এই ভিটামিনের অভাব শরীরকে অনেক সমস্যার মধ্যে ফেলে দেয়।

Vitamin-p এর অভাব শরীরে কতটা ক্ষতিকর

হ.আ/স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৪৭

হ.আ/স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৪৭

প্রতিকী ছবি

ভিটামিন-পি এর নাম বেশিরভাগ মানুষই শোনেননি। তবে এই ভিটামিনের অভাব শরীরকে অনেক সমস্যার মধ্যে ফেলে দেয়। সে কারণে নিজেকে সচেতন থাকতে হবে, আর এমন খাবার খেতে হবে যেন আমাদের শরীরে ভিটামিন-পি এর ঘাতটি কমে।


Vitamin -P কি?
ভিটামিন-পি যাকে বায়োফ্ল্যাভানয়েডস নামে ডাকা হয়। এর ৬ টি ভাগ রয়েছে। এখন পর্যন্ত মোটামুটি ৬ হাজার ধরনের ফ্ল্যাভানয়েডস চিহ্ণিত করা গিয়েছে। ১৯৩০ সালে কমলা লেবুর মধ্যে এই উপাদান প্রথম পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। তারপর থেকেই এই উপাদান কে ভিটামিন- পি নামে ডাকা হয়। তবে প্রথমেই বলে রাখি, ফ্ল্যাভানয়েডস কিন্তু ভিটামিন নয়। শুধু নামটাই রয়ে গিয়েছে।


ভিটামিন-পি অভাব হলেই বিপদ -
ভিটামিন-সি ঘাটতি থাকার লক্ষণের সঙ্গে এর মিল রয়েছে। দেখা গিয়েছে ভিটামিন- পি কম থাকলে রক্ত গড়াতে পারে।  এক্ষেত্রে রক্ত নালি ফেটে যায়। ফলে রক্ত বেরিয়ে আসে। এছাড়া আর্থ্রাইটিস থাকা ব্যক্তিদের শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে প্রদাহ হতে পারে। এছাড়া খুব বেশি ডেফিসিয়েন্সি থাকলে স্কার্ভি, দাঁত ও মাড়ির সমস্যা অ্যানিমিয়া ইত্যাদি রোগ হওয়া সম্ভব। পাশাপাশি ত্বক, চুল শুষ্ক হয় অনেকের।

বিশেষজ্ঞদের কথায় সুস্থ থাকাতায় জীবনের লক্ষ্য। তবে সুস্বাস্থ্য না থাকলে গোটা জীবনটাই মাটি। কিছু কিছু উপাদান আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই উপাদান গুলি মানুষকে সুস্থ্য রাখতে পারে। এবার এই তালিকায় একেবারে প্রথম দিকে আসবে ফ্ল্যাভানয়েডসের নাম।  বহু অসুখ কে দূরে রাখে এই উপাদান। এমন কি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বাড়ায়।

কোন খাবারে মেলে?
ফ্ল্যাভানয়েডস বা ভিটামিন- পি যাই বলুন না কেন ,  এই উপাদান কিন্তু ফল ও সবজির গাঢ় রং তৈরির পিছনে থাকে। তাই গাঢ় রংয়ের সবজি বা ফল খেলে শরীরে ভালো মতো পৌঁছে যেতে পারে এই ভিটামিন। এক্ষেত্রে অলিভ তেল, বেরি জাতীয় ফল, পেয়াজ, টমেটো, রেড ওয়াইন, চা, কোকাও,আপেল, আঙুর, সোয়াবিন, সোয়াবিন থেকে তৈরি অন্যান্য খাবার। ব্লুবেরিজ, ব্লাকবেরিজ, ক্যানবেরিজ এই উপাদান মেলে।

মস্তিষ্ক দ্রুত কাজ করে-
ফ্ল্যাভানয়েডস ব্রেনের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে। এমন কি এই অঙ্গকে সঠিক ভাবে কাজ করতে এবং কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে স্মৃতিশক্তি মজবুত হয়। এমন কি কোন কাজ দ্রুত হয়। তাই জীবনে উন্নতি করতে চায়লে খেতে হবে উপাদান যুক্ত  খাবার। আসা করছি ভালো থাকতে পারবেন অনায়াসে।

ডায়াবিটিস থাকে দূরে -
এখন সারা দেশজুড়ে টাইপ-টু  ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। এই অসুখ কিন্তু কিডনি, হার্ট, চোখের সমস্যার কারন। ন্যাশনাল লাইব্রেরি  অব   মেডিসিন জানাচ্ছে, ফ্ল্যাভানয়েডসযুক্ত খাবার খেল টাইপ -টু ডায়বেটিসের ঝুঁকি কয়েকগুণ কমে। এক্ষেত্রে ৩০০ এমজি ফ্ল্যাভানয়েডস রোজ খেলে টাইপ -টু ডায়বেটিসে আাক্রান্ত হওয়ার আশাঙ্কা কমে ৫ শতাংশ। ফলে এই রোগ থেকে নিজেকে বাঁচাতে চাইলে অবশ্যই ভিটামিন -পি খেতে হবে।

হার্টের রোগ কাছে আসে না -
হার্টের অসুখে আক্রান্ত রোগী এখন খুব বেশি দেখা যায়। কমবয়সিরাও আক্রান্ত হচ্ছেন এই রোগে। তবে কিছু ফ্ল্যাভানয়েডস এ রোগ দূরে রাখতে পারে। তালিকায় রয়েছে ফ্ল্যাভানলস, অ্যান্থোসায়ানিন, প্রান্থোসায়নায়ডিনস, ফ্ল্যাভোনস, ফ্ল্যাভোনিজ, এবং ফ্লাভান-৩ ইত্যাদি। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে আজ থেকে ভিটামিন যুক্ত খাবার খাওয়া শুরু করে দিন।

মানব দেহে যেমন ভিটামিন এ,    সি,   ডি   প্রয়োজন ঠিক তেমনি জরুরি ভিটামিন-পি। এই ভিটামিন দেহের নানা কাজে লাগে। এই ভিটামিনকে এখন ফ্ল্যাভানয়েডস বলা হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: