
সোমবার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান নিজ নিজ দফতরের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হাসপাতালসমূহ সাধারণ জনগণের জন্য চিকিৎসা সেবা উন্মুক্ত করার পাশাপাশি রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রেলপোষ্য এবং যাত্রীদের সেবায় আগের মতোই সংরক্ষিত থাকবে।
দেশের বড় বড় শহরে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন হাসপাতালসমূহে রোগীর চাপ সবসময়ই বেশি থাকে। অন্যদিকে রেলওয়ে হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা অনেক কম। এই বাস্তবতায় যৌথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রেলওয়ে হাসপাতালগুলোকে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করলে দেশের স্বাস্থ্যসেবায় ভারসাম্য ফিরে আসবে এবং জনগণ আরও সহজে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে পারবে।
এই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী রেলওয়ে হাসপাতালসমূহের সার্বিক ব্যবস্থাপনা একটি কেন্দ্রীয় কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হবে, যাতে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রতিনিধিরা যুক্ত থাকবেন। হাসপাতালগুলোর সম্পত্তি, জনবল, এবং অন্যান্য প্রশাসনিক ও সংস্থাপনিক কার্যক্রম রেলওয়ের বিদ্যমান কাঠামো অনুযায়ী পরিচালিত হবে।
এছাড়া হাসপাতালগুলোতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সংযুক্তির বিষয়েও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ পদক্ষেপ নেবে, যাতে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়। সেবার বিনিময়ে যে অর্থ আদায় হবে, তা সরকারি হাসপাতালের নীতিমালার আলোকে পরিচালিত হবে।
অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সরকার আশা করছে, এই উদ্যোগের ফলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা আরও সহজলভ্য ও কার্যকর হবে এবং রেলওয়ের অব্যবহৃত সম্পদ জনগণের কল্যাণে কাজে লাগবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: