
নিউজ ডেস্কঃ- দেশের বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি খুবই সাধারণ দৃশ্য। দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির বর্তমান এই দেশে নায্যমূলে কোন পণ্যই পাওয়া যায় না। নিত্যনৈমিত্তিক প্রতিটি ভোগ্যপণ্যই যেন অধিক মূল্যের আগুন দাউদাউ করে বেড়েই চলছে। সুযোগ পেলেই এক শ্রেণীর মুনাফাখোর ব্যবসায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্যের ঊর্ধ্বগতি করে থাকে। সরকার নির্বিকার,জনগণ ক্ষুব্ধ তারপরেও যেন দেখার কেউ নেই।
সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন অতি প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য সাধ্যের মধ্যে ক্রয় করতে পারা ঘামঝড়া পরিবেশ যেন ঘোর দৌড় প্রতিযোগিতার মতো খেলা জুড়ে শান্ত দর্শক হয়ে মজা লুটা এমন এক অবস্থা তৈরী করছে একশ্রেণীর সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী মহল। ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর দেশের অবস্থা ব্যাপক পরিবর্তন হলেও দ্রব্যমূল্যের সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষ ক্ষমতার হাতের নাগালেই ছিল।
১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ জন্মের পর অর্থনৈতিক বিপর্যয় দুর্ভিক্ষ ও মহামারীতে সাধারণ মানুষের জীবনের অতর্কিত হানা দেই। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে প্রয়োজনীয় অধিকাংশ দ্রব্যমূল্যে সাধারণ মানুষের কয় ক্ষমতার বাইরে চলে যেতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় চরম পর্যায় হলো বর্তমান অবস্থা।চাল ডাল ছোলা আটা তেল চিনি পেঁয়াজ মরিচ সহ মাছ মাংস তেল সাবান এমন সব পরিবারে দৈনন্দিন ব্যবহারযোগ্য অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ক্রমাগত বেড়েই চলছে। এতে করে সাধারণ মানুষের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে সর্বাধিক।
দেশের মোট জনসংখ্যার পঁচাত্তর ভাগই চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে খাদ্য সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের কারণে।এদিকে শুধু গ্রামীণ জনগোষ্ঠীই নয়,শহরমুখী মানুষের বাড়ি ভাড়া যাতায়াত খরচ শিক্ষা চিকিৎসা ওষুধপত্রের দাম বিদ্যুৎ গ্যাস পানির রেইট লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সাধারণ মানুষের বোঝার উপর সাগের আঁটি হয়ে।
দেশের বিপুল সংখ্যাগোরিষ্ঠ মানুষের আয় উপার্জন সে তুলনায় বাড়ছে না,এতে করে প্রকৃত আয় ক্রমাগতভাবে কমেছে।এদিকে শ্রমিক কৃষক ক্ষেতমজুর সহ স্বল্প আয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্তদের জনজীবন স্তব্ধ। দৈনন্দিন শ্রমজীবী মানুষের মুজরি বাড়ছে না।কৃষক ফসলের যুক্তি সঙ্গত ন্যায্য দাম পাচ্ছে না, কর্মচারীদের বেতন দ্রব্যমূল্যের সাথে সঙ্গীত রেখে বাড়েনা,বরং জিনিসপত্রের দাম ক্রমাগত বেড়েই চলছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়া বিভিন্ন মহলে উৎকণ্ঠ ও প্রতিবাদের সুর প্রকাশ্য হচ্ছে। সরকার সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য টিসিবিসহ বিভিন্ন প্রকল্প অব্যাহত রেখেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বার্থবাদীদের দাপটে থমকে পড়ছে জনজীবনের পথ। এক শ্রেণীর সুযোগ সন্ধানী কালোবাজারি মজুদ্দার মুনাফাখোর ও অসাধু ব্যবসায়ী পন্যদ্রব্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে।
পরে পণ্য মজুদ রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে,এমন পরিস্থিতিতে দেশের সাধারণ নিম্নআয়ের মানুষের জনজীবনের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: