
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এলডিসি উত্তরণের প্রস্তুতি বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের এক পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভা শেষে বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “উত্তরণের ফলে যেন কোনো সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। বরং মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আমরা যেন সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে পারি—সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও মনিটরিং জোরদার করতে হবে।” তিনি বাংলাদেশকে একটি ম্যানুফ্যাকচারিং ও ইকোনমিক হাব হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন।
পর্যালোচনা সভায় এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী একটি বিশ্লেষণাত্মক পেপার উপস্থাপন করেন। উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন, বাণিজ্য উপদেষ্টা বশিরউদ্দীন, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার, পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা রিজওয়ান হাসান চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুরসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।
দুই ঘণ্টাব্যাপী সভায় এলডিসি উত্তরণ প্রক্রিয়ার সম্ভাব্য প্রভাব, প্রস্তুতি, কর্মসংস্থান, বেসরকারি খাতের ওপর চাপ এবং ঝুঁকি নিরসনে করণীয় নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। এছাড়াও, সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত স্টেকহোল্ডারদের ঝুঁকি মোকাবিলায় দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: