জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীর চুড়ান্ত পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করায় বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের ১৬ জন শিক্ষার্থীকে স্বর্ণ পদক দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে ১১ জনই ছাএী। আগামীকাল (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাদের হাতে স্বর্ণপদক তুলে দেবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বি এম আজিজুর রহমান বলেন, স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে সর্বোচ্চ ফলাফলের জন্য এ বছর মোট ১৬ জন শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে। এর মধ্যে স্নাতকে সর্বোচ্চ ফলাফলের জন্য ৮ জনকে 'আসাদুল কবীর স্বর্ণপদক', স্নাতকোত্তরে সর্বোচ্চ ফলাফলের জন্য ৭ জনকে 'শরফুদ্দিন স্বর্ণপদক' ও দর্শন বিভাগের ১জন শিক্ষার্থীকে ‘প্রফেসর মোফাসসিল উদ্দিন আহমেদ ট্রাস্টফান্ড স্বর্ণপদক‘ প্রদান করা হবে। আসাদুল কবীর স্বর্ণপদক' প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন—মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের তানজিনা আক্তার (স্নাতক-২০১২) ও মুমতারিন জান্নাত ঐশী (স্নাতক-২০১৬), ইন্সটিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) রাতুল কুমার সাহা (স্নাতক-২০১৩) ও বি এম মুহিত সাঈফ (স্নাতক-২০১৮) , ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) ফারিহা আফসানা (স্নাতক-২০১৪), প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের উম্মে মাহফুজা শাপলা (স্নাতক-২০১৫), ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের জান্নাতুল হুসনা তুয়া (স্নাতক-২০১৭), গণিত বিভাগের মোছা. মরিয়ম সুলতানা (স্নাতক-২০১৯)। সমাবর্তনে 'শরফুদ্দিন স্বর্ণপদক' প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন—পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শরিফুল ইসলাম (স্নাতকোত্তর- ২০১৩), মোছাঃ শামীমা খানম (স্নাতকোত্তর-২০১৪), বদরুন্নাহার দীপা (স্নাতকোত্তর-২০১৮) ও মুহাম্মদ খায়রুল আলম (স্নাতকোত্তর-২০১৯), ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ঊর্মি দাস (স্নাতকোত্তর-২০১৫), অর্থনীতি বিভাগের ইসতিয়াক রায়হান (স্নাতকোত্তর-২০১৬), ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের কামরুন নাহার (স্নাতকোত্তর-২০১৭)। এছাড়াও স্নাতকোত্তরে সর্বোচ্চ ফলাফলের জন্য দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সাথী আক্তারকে (স্নাতকোত্তর-২০১৮) 'প্রফেসর মোফাসসিল উদ্দিন আহমেদ ট্রাস্টফান্ড স্বর্ণপদক' প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য, এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সময়ে ২০১৫ সালে জাবির পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। সেবার ৯ হাজার গ্র্যাজুয়েট, এম.ফিল ও পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জনকারীদের মধ্য থেকে ১৮ জন শিক্ষার্থীকে ২৩টি স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।