
সোমবার (২১ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কলেজের প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। সেইসঙ্গে প্রতীকী ‘রক্তাক্ত অ্যাপ্রোন’ টাঙিয়ে বিক্ষোভের চিত্র ফুটিয়ে তোলেন। পরে কালো ব্যাজ ধারণ করে কলেজ ফটকের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগানও দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একজন, পৃথিবীরাজ জানান, “স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আমাদের দাবি পূরণের জন্য সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দিতে হবে। এছাড়া, আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
একইসঙ্গে শিক্ষার্থী নুরনাহার বলেন, “এই সমস্যাগুলোর সমাধান না হলে আমরা একাডেমিক ও প্রশাসনিক সব কার্যক্রম বর্জন করেই আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মোস্তাক আহমেদ ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের দাবিকে যৌক্তিক আখ্যা দিয়ে বলেন, “হাসপাতাল চালু না থাকায় শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিষয়টি আমরা একাধিকবার সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
এর আগে রোববার (২০ এপ্রিল) শিক্ষার্থীরা টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পর্যাপ্ত ওয়ার্ড সুবিধা ও হাসপাতাল চালুর দাবিতে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় সেনাবাহিনী এসে তাদের আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানালেও শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি চালিয়ে যান। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে যেতে বাধ্য হন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান এবং সড়ক অবরোধ করে নিজেদের দাবির পক্ষে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: