
বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পরই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা দেয়। এ সময় ক্যাম্পাসে আনন্দে ফেটে পড়েন তারা। অনশনরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষকরা জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙান।
এক শিক্ষার্থী বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের বিজয় হয়েছে। সত্য কখনো হারে না। ইনকিলাব জিন্দাবাদ। ভিসির পদত্যাগ নয়, পতন হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১০০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন।
পরবর্তীতে, ১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এর প্রতিবাদে ২২ এপ্রিল থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন।
শিক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা ও প্রতিনিধিদল অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং ভিসির পদত্যাগ দাবি করেন।
পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে অবশেষে সরকারের পক্ষ থেকে উপাচার্য ও প্রো-ভিসিকে অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু করা হয়, যা আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: