নিউজ ডেস্কঃ সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সুইডেন ও নেদারল্যান্ডে পবিত্র কুরআনের কপি পোড়ানো উগ্রবাদী রাজনীতিক রাসমুস পালুদান একজন যৌনাসক্ত ব্যক্তি। তিনি কিশোর বয়সের বালকদের সঙ্গে ইন্টারনেটে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে । এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ পাওয়া রয়েছে।
তুর্কির একটি সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড থেকে জানানো হয়েছে যে, সুইডিশ-ডেনিশ চরমপন্থী এই রাজনীতিক ব্যাক্তি পালুদান মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ডিসকোর্ডে কিশোর বয়সের ছেলেদের সঙ্গে বিভিন্ন অসংলগ্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সংক্রান্ত কয়েকটি অডিও রেকর্ডিংও ফাঁস হয়েছে। এ ছাড়াও তিনি এই প্ল্যাটফর্মে অল্প বয়সি বালকদের সেক্সুয়াল গ্রাফিক্স দিতেন।
খবরে আরো বলা হয়েছে, এ রকম একটি গ্রুপে দুই বছর আগে অনেক ইউজাররা তাদের বয়সের কথা এই পালুদানকে জানায়। যাদের প্রত্যকেকের বষয় ছিল ১৩ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। যখন তার কাছে তার বয়সের কথা জানতে চাওয়া হলে তিনি তার বয়স ৩৯ বছর বলে জানান।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালে এই ব্যাক্তির ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি ডিসকোর্ড ব্যবহার করতে শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে বর্ণবাদ,, ট্রাফিক আইন সংক্রান্তসহ প্রায় ১৪টি এর মতো অভিযোগ ।
গত ২১ জানুয়ারি তুর্কি দূতাবাসের বাইরে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন মাজিদের একটি কপিতে আগুন ধরিয়ে দেয় এই ব্যক্তি। যে কাজে অনুমতিও দিয়েছিলো সুইডেনের পুলিশ এবং দেশটির কর্তৃপক্ষ।
পরের সপ্তাহে আবার ডেনমার্কের একটি মসজিদের সামনে কুরআন মাজিদের আরেকটি কপিতে আগুন ধরান এই পালুদান। তিনি জানিয়েছেন,,সুইডেনকে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত দেশ হিসেবে যুকাত না করলে তিনি প্রতি শুক্রবার কুরআনে আগুন দেবেন। কিন্তু তুরস্কের আপত্তির কারণে ন্যাটোতে যুক্ত হতে পারছে না সুইডেন।
সম্পাদক: মোঃ আব্দুর রহমান
যোগাযোগ:
মোবাইল:
ইমেইল: info@mohanonda24.com