
বৈঠক শেষে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, “সব দলের নেতারা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। সরকারকে জানানো হয়েছে, তারা যেকোনো অ্যাকশন নিতে পারে। আমরা পুরোপুরি তাদের পাশে থাকবো।”
সভার সভাপতিত্ব করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানান, সব দল কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। সরকার জানিয়েছে, শান্তি বজায় রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পেহেলগামের ওই হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এর জেরে দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
ভারত প্রথমে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ কঠোর ব্যবস্থা ঘোষণা করে। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানি দক্ষ কর্মী ও কূটনীতিকদের জন্য বিশেষ ভিসা স্থগিত করা এবং সব ধরনের মেডিকেল ভিসা বাতিলের ঘোষণা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, রোববার থেকে পাকিস্তানের নাগরিকদের আর ভারতে প্রবেশের অনুমতি থাকবে না। এমনকি বর্তমানে ভারতে অবস্থানরত পাকিস্তানিদেরও নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশ ত্যাগ করতে হবে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি জানান, এক বিশেষ নিরাপত্তা বৈঠকে নিশ্চিত হওয়া গেছে, হামলার উৎস সীমান্তের ওপারে। এরপর ভারত আরও কিছু পদক্ষেপের কথা জানায়, যার মধ্যে রয়েছে দুই দেশের কূটনৈতিক কর্মীদের সংখ্যা কমানো এবং বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় সই হওয়া সিন্ধু নদীর পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করা।
এই পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান বৃহস্পতিবার ভারতীয় মালিকানাধীন ও ভারত-পরিচালিত সব বিমান সংস্থার জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। একইসঙ্গে ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করে। এই নিষেধাজ্ঞা তৃতীয় দেশ হয়ে ভারতে যাওয়া-আসা করা বিমানেও কার্যকর হবে।
এছাড়া নয়াদিল্লি থেকে পাকিস্তানি সামরিক কূটনীতিকদের ‘পারসনা নন গ্রাটা’ (অবাঞ্ছিত ব্যক্তি) ঘোষণা করা হলে, পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা নেয়। ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে পাকিস্তান, এবং তাদের অবিলম্বে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সূত্র: এনডিটিভি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: