চাঁপাইনবাবগঞ্জ | শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ info@mohanonda24.com +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

জাতিসংঘের দুটি আঞ্চলিক সংস্থায় নির্বাচিত বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:২৬

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:২৬

ফাইল ছবি

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এই অধিবেশনে বাংলাদেশ এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেনিং সেন্টার অন আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট (এপিসিআইসিটি) এবং এশিয়া-প্যাসিফিক সেন্টার ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব ডিজাস্টার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট (এপিডিআইএম)–এর গভর্নিং কাউন্সিলে আগামী তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এই নির্বাচনী জয় আঞ্চলিক সহযোগিতায় বাংলাদেশের নেতৃত্বের সক্ষমতার স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল ও ইএসসিএপি নির্বাহী সচিব আর্মিদা সালসিয়াহ আলিশাবানা, থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা এবং অঞ্চলটির বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীরা।

নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অধিবেশনের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং বাংলাদেশের অর্থ উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

উদ্বোধনী অধিবেশনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের একটি ভিডিও ভাষণ প্রচারিত হয়। এতে তিনি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ‘তিন শূন্য’–দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণহীন একটি নতুন বিশ্ব গড়ার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকা ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী অধিবেশনে টেকসই উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে ইএসসিএপি ও সদস্য দেশগুলোর প্রতি স্মার্ট, সবুজ ও স্থিতিশীল নগরায়ণে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, “তিনটি শূন্য নীতির ভিত্তিতে নগর উন্নয়নের উদ্ভাবনী মডেল বাংলাদেশকে একটি টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে।”

অন্যদিকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী আঞ্চলিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এজেন্ডা বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে কারিগরি সহায়তা প্রদানের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।

অধিবেশনের বাইরে, বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল ইএসসিএপি নির্বাহী সচিবের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেয়। সেখানে আইসিটি উন্নয়নসহ আঞ্চলিক সক্ষমতা বৃদ্ধির নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়।

বাংলাদেশের এই নির্বাচনজয় ও সক্রিয় অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশের নেতৃত্বের প্রতি আস্থার প্রতিফলন বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। ইউএনইএসসিএপি ও সদস্য রাষ্ট্রদের সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।

সূত্র: বাসস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: