07/29/2025 গাজার দিকে ছুটে যাচ্ছে মানবতার বোতল
অনলাইন ডেস্ক
২৭ জুলাই ২০২৫ ১৪:৫৭
২০১৬ সাল থেকে ইসরায়েলি অবরোধে জর্জরিত গাজা উপত্যকা ২০২৫ সালের ১৮ মার্চ থেকে পড়েছে আরও কঠোর ও সর্বাত্মক অবরোধের মধ্যে। জাতিসংঘ এই পরিস্থিতিকে আখ্যা দিয়েছে এক ভয়াবহ ‘মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ’ হিসেবে। তাদের ভাষ্যমতে, ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের বরাতে জানানো হয়েছে, এই সংকট থেকে কিছুটা রেহাই পেতে গাজায় প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে পাঁচ লাখ বস্তা আটা প্রয়োজন। তা না হলে, পুরো অঞ্চল এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হবে।
বিশেষত শিশুদের অবস্থা চরম উদ্বেগজনক। পাঁচ বছরের নিচে শিশুদের মধ্যে চরম অপুষ্টির হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। অনেক শিশু দিনের পর দিন না খেয়ে থেকে অজ্ঞান হয়ে পড়ছে, হাসপাতালের বিছানায় পড়ে থাকছে হাড়-জিরজিরে দেহ নিয়ে। অভিভাবকেরা জানাচ্ছেন—ক্ষুধার কান্না নিয়ে ঘুমায় তাদের সন্তান, সেই কান্না নিয়েই জেগে ওঠে।
এই বাস্তবতাকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে ভাইরাল ভিডিওটির নিঃশব্দ প্রতিবাদ। সেখানে দেখা যায়, এক মিশরীয় নাগরিক একের পর এক খাবার ভর্তি বোতল সাগরে ছুঁড়ে দিচ্ছেন গাজার দিকে, আর উচ্চারণ করছেন এক করুণ বার্তা—
“ক্ষমা করে দিও ভাই... আমরা কিছুই করতে পারছি না।”
এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বজুড়ে মানুষ আবেগে বিহ্বল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গাজার জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন অনেকেই। মানবিক সহায়তা পাঠানো ও অবরোধ ভেঙে দেওয়ার দাবিতে মুখর হয়েছে বিভিন্ন মহল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দৃশ্য যেন পুরো মুসলিম বিশ্বের এক প্রতীকী আত্মগ্লানি—যেখানে একজন অসহায় নাগরিক সামান্য প্রতিবাদের মাধ্যমে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন বিশ্বের বিবেকের কাছে।
“গাজার শিশুরা যেন ক্ষুধায় না মরে”—এটা শুধু একটি দাবি নয়, এটি এখন মানবতার এক জরুরি আহ্বান।